মুফতি সাহেব! মাওলানা নুরুদ্দীন সাহেব ২০১৫ সালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্তেকালের সময় ওয়ারিশ হিসেবে এক স্ত্রী, চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। আর মা-বাবা পূর্বেই ইন্তেকাল করেছেন । এখন জানার বিষয় হচ্ছে শরীয়ত মুতাবেক কে কতটুকু অংশ পবে?
মরহুম মাওলানা নুরুদ্দীন সাহেব রহ. এর পরিত্যক্ত সম্পদ শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এভাবে বণ্টন করা হবে যে, মরহুম ইন্তেকালের সময় নগদ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ-রুপা ও ঘরের ছোট-বড় আসবাবপত্র সহ যা কিছু তার মালিকানাধীন রেখে গেছেন সব কিছু তার পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং তা থেকে কোন প্রকার কার্পণ্য ও অপচয় ব্যতীত প্রথমে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অতপর মৃত ব্যক্তির কোন ঋণ থাকলে অথবা স্ত্রীর মহর আদায় না করে থাকলে পূর্ণ সম্পদ থেকে তা আদায় করতে হবে। অতপর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য জায়েয কোন অসিয়ত করে থাকলে কিংবা নামাজ, রোজা ইত্যাদির কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে থাকলে একতৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে তা পূর্ণ করবে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ৮০ ভাগে ভাগ করবে। যা থেকে মৃত ব্যক্তির স্ত্রীকে ১০ ভাগ এবং প্রত্যেক ছেলেকে ১৪ ভাগ ও প্রত্যেক মেয়েকে ৭ ভাগ করে দেয়া হবে। অধিক সহজের জন্য শতকরা কে কত পাবে তা নিম্নে দেয়া হল।
সর্বমোট ৮০ ভাগ।
ওয়ারিশ প্রাপ্তঅংশ শতকরা প্রাপ্তঅংশ
স্ত্রী ১০ ভাগ, শতকরা ১২.৫০%
ছেলে ১৪ ভাগ, শতকরা ১৭.৫০%
ছেলে ১৪ ভাগ শতকরা ১৭.৫০%
ছেলে ১৪ ভাগ শতকরা ১৭.৫০%
ছেলে ১৪ ভাগ শতকরা ১৭.৫০%
মেয়ে ৭ ভাগ শতকরা ৮.৭৫%
মেয়ে ৭ ভাগ শতকরা ৮.৭৫%