About Darulifta

Online Fatwa by Darulifta Jamia Binoria

دار الإفتاء الجامعة البنورية الإسلامية

জামিয়া পরিচিতি

জামিয়া বিন-নূরিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম দেওবন্দের আদলে প্রতিষ্ঠিত একটি অনন্য খালেস দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার রুহানী সম্পর্ক রাহবরে মিল্লাত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর সঙ্গে। যিনি দারুল উলূম দেওবন্দের উজ্জ্বল নক্ষত্র ও আহলে সুন্নাতের পথপ্রদর্শক৷ জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক। তিনি ছিলেন খানকার পীর ময়দানের বীর, বরেণ্য শাইখুল হাদিস, দক্ষ ইসলামী রাজনীতিবিদ, আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর ও চেতনার বাতিঘর ৷

দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা :

ইসলামের প্রাথমিক যুগে মক্কার কাফের মুশরিকরা যখন প্রিয়নবি সা. কে দ্বীন প্রচার করা থেকে বিরত রাখার জন্য বাধার প্রাচীর হয়ে দাড়িয়েছিল। ঠিক তখনই হযরত জায়েদ বিন আরকাম রা. এর বাড়িতে সর্ব প্রথম একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। যা দারুল আরকাম নামে পরিচিত। রাসূলুল্লাহ সা. সেখানে ঈমান ও ইসলামের দাওয়াত প্রচার করতেন। হিজরতের পর মসজিদে নববির পাশে প্রতিষ্ঠিত হয় আবাসিক মাদরাসা৷ ইতিহাসের সোনালি পাতায় যা আস-সুফফা নামে পরিচিত। এরই ধারাবাহিকতায় ১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দারুল উলূম দেওবন্দ৷ দিন যত যাচ্ছে দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা ততই বাড়ছে ৷ কারন দ্বীন থাকলেই দুনিয়া থাকবে৷ আর দ্বীন ও ধর্মের সুরক্ষা, ঈমান ও আকিদার বিশুদ্ধতা এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গুলোর সঠিক ও সুন্দর পরিচালনার উপরই নির্ভরশীল।

জামিয়া প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস :

হযরত মাওলানা মুফতি ওয়ালী উল্লাহ নূর হাফিজাহুল্লাহু ৷ যার শিক্ষাগুরু ছিলেন তাঁর সম্মানিত পিতা আল্লামা নূরুদ্দীন আহমাদ রহ., রাহবরে মিল্লাত আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এবং হযরত মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী হাফিজাহুল্লাহু। যাদের তত্ত্বাবধানে তিনি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভ করেছেন।

দ্বীনি খেতমতের প্রতি নিজের সীমাহীন আগ্ৰহ এবং আল্লাহ তায়ালার বিশেষ মেহেরবানী ও রুহানী সুযোগ্য সন্তান মাওলানা আব্দুল মাজীদ মামুন রহমানী-র বিশেষ উৎসাহ ও প্রেরণায় রাজধানী ঢাকার, উত্তরা ১২নং সেক্টরে তিনি জামিয়া বিন-নূরিয়া ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে যার নাম ছিলো “মাদরাসাতুল কাসেম আন-নূরিয়া”। পরবর্তীতে স্বীয় শায়েখ ও রুহানি পিতা আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এবং পিতা আল্লামা নূরুদ্দীন আহমাদ রহ. এই বুজুর্গদ্বয়ের নামের দিকে নিসবত করেই প্রতিষ্ঠানটির নাম রাখা হয় “জামিয়া বিন-নূরিয়া ইসলামিয়া”।

২০১৮ সালে অল্প কয়েকজন স্থানীয় শিশুর মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির পথচলা। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানীতে তিলে তিলে গড়েতুলা এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত শতশত ইলম পিপাসু তালেবে ইলমগণ ইলম অর্জন করছেন।

জামিয়ার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য :

জামিয়া বিন-নূরিয়া ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য হলো মহান মালিকের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে মানুষের মাঝে ধর্মীয় জ্ঞান, কোরআন-হাদিস, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের আকিদা, ফিকহে হানাফি এবং ইসলামী ঐতিহ্যের সমন্বিত ও সর্বজনীন শিক্ষার প্রচার-প্রসার করা।

এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো কোরআন-হাদিস এবং ফিকহের এমন গভীর ও গবেষণামূলক শিক্ষা প্রদান করা, যা দ্বীনের প্রয়োজনীয়তা পূরণের পাশাপাশি আধুনিক যুগের চাহিদার সাথেও সামঞ্জস্য রেখে চলবে।

জামিয়া এমন দক্ষ হাফেজ, আলেম ও মুফতি তৈরির জন্য কাজ করে, যারা ইসলামকে দৃঢ় ও মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে তা বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন। এছাড়া এখানে এমন আদর্শ শিক্ষক তৈরি করা হয়, যারা জ্ঞান-পিপাসুদের জ্ঞান তৃষ্ণা মেটাতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন।

ইসলামের বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন দাওয়াত ও তাবলিগ, মুনাযারা (ধর্মীয় বিতর্ক), আরবি ও বাংলা ভাষায় বক্তৃতা ও লেখনী, এবং সাহিত্য ও গবেষণাসহ দ্বীনের প্রতিটি সেক্টরে অনন্য অবদান রাখতে সক্ষম আলেম তৈরি করা জামিয়ার অন্যতম লক্ষ্য।

তাছাড়া ইসলামবিদ্বেষী খোদাদ্রোহীদের নিয়মতান্ত্রিক মোকাবেলা পূর্বক সমাজ থেকে নাস্তিক্যবাদ, শিরক ও বিদআতের মূলোৎপাটনের মাধ্যমে ইসলাহী তৎপরতা দ্বারা সমাজে ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা ও সার্বস্তরে ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার প্রবর্তন করাও জামিয়ার মৌলিক একটি লক্ষ্য।

জামিয়ার মতবাদ ও চিন্তাধারা :

জামিয়া বিন-নূরিয়া ইসলামিয়া আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের আকিদা-বিশ্বাস, হানাফি মাযহাব এবং দেওবন্দি মতবাদ লালনকারী ৷ যা কাসিমুল উলূমি ওয়াল খাইরাত, হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ কাসেম নানুতুবী, আবু হানিফায়ে সানী মাওলানা রশীদ আহমদ গাঙ্গুহী, হাকিমুল উম্মত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, শাইখুল আরাবি ওয়াল আজম হুসাইন আহমাদ মাদানী, আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরী ও শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ. প্রমুখ বুযুর্গানে দ্বীনের দৃষ্টিভঙ্গির অনুসারী।

বেফাক ও হাইআর সাথে সম্পৃক্ততা :

জামিয়া বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় শিক্ষা বোর্ড "বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ" এর সাথে সংযুক্ত। জামিয়ার তাহফিজুল কোরআন, তাইসির, নাহবেমির, কাফিয়া, শরহে বেকায়া ও মেশকাত জামায়াতের শিক্ষার্থীরা বেফাকের অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন । আর দাওরায়ে হাদিসের ছাত্ররা কওমী মাদ্রাসাসমূহের সর্বোচ্চ শিক্ষাবোর্ড "আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিআতিল কওমিয়া" এর অধীনে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

জামিয়ার বৈশিষ্ট্যসমূহ :

১। দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।
২। দক্ষ, অভিজ্ঞ, রক্ষণশীল, পরিশ্রমী, খোদাভিরু ও আন্তরিক শিক্ষকবৃন্দের মাধ্যমে পাঠদান।
৩। তা'লীমের পাশাপাশি তারবিয়াতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান।
৪। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও খাবারের ব্যাবস্থাপনা।
৫। শিক্ষার মানোন্নয়নে নিয়মিত অভিভাবকদের মন্তব্য ও পরামর্শ গ্রহণ।
৬। দৈনন্দিন সুন্নতের আমলি মশক তথা বাস্তবিক অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ।
৭। আবাসিক ছাত্রদেরকে আবাসিক শিক্ষক দ্বারা সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের ব্যবস্থা।
৮। বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক ও হাইআর) এর অধীনে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ।
৯। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্রতি পরীক্ষার পর ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের মধ্যে মানসম্মত পুরস্কার বিতরণ।

ইফতা বিভাগের বৈশিষ্ট্যসমূহ

১। অভিজ্ঞ মুফতিয়ানে কেরামদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।
২। দারুল উলূম দেওবন্দ ও দারুল উলূম করাচির নেসাবের সমন্বয়ে গঠিত নেসাব।
৩। আধুনিক মাসায়েল ও মুআমালাতের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ।
৪। উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফাত্ওয়ার তামরীন ও মাকালা লেখার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ।
৫। নির্বাচিত বিষয়ে মুহাযারা প্রদান।
৬। ফিকহুল হালাল, তাকাফুল ও ইসলামীক ব্যাংকিং ইত্যাদি আধুনিক বিষয়ে বিশেষ কোর্সের ব্যবস্থা।
৭। মুতালাআর জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ কিতাব।
৮। সার্বক্ষণিক নেগরানীর ব্যবস্থা।
৯। লিখিত ফাত্ওয়াগুলো ডিজিটাল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
১০। অতি অল্প সময়ে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে সঠিকভাবে ফাত্ওয়া হল করার পদ্ধতি শিখানো হয়।
১১। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অধ্যয়নের সুযোগ।
১২। প্রতিটি ছাত্রকে ন্যূনতম মাসিক ভাতা প্রদান করা হয়।
১৩। ব্যবসায়ীদের মধ্যে শরীয়ত সম্মত ব্যবসা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচেষ্টা।

বিভাগ সমূহ

১। আধুনিক নূরানী বিভাগ।
২। মানসম্মত নাজেরা বিভাগ।
৩। আদর্শ হিফজুল কোরআন বিভাগ।
৪। হিফজুল কোরআন রিভিশন (শুনানী) বিভাগ।
৫। কিতাব বিভাগ নাহবেমির পর্যন্ত। (ধারাবাহিক দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত খোলা হবে ইনশাআল্লাহ)।
৬। ফাত্ওয়া বিভাগ। (১ বছর আবশ্যক, দ্বিতীয় বর্ষ ঐচ্ছিক)।

ভর্তি সংক্রান্ত তথ্যাবলী

পহেলা রমজান থেকে ২৫ শে রমজান এবং ৭-ই শাওয়াল থেকে ১৫ই শাওয়াল পর্যন্ত সিমিত কোটায় সকল বিভাগে ভর্তি চলবে ইনশাআল্লাহ। ভর্তির সময় নতুন ছাত্রদের ২ কপি ছবি ও জন্ম নিবন্ধন কার্ড অথবা এন আইডি কার্ডের ফটোকপি বাঞ্চনীয়।

পরীক্ষাসমূহ :

জামিয়ায় হিফজ, নাজেরা এবং কিতাব বিভাগে সারা বছরে তিনটি পরীক্ষা নেওয়া হয়:

১। সেমাহী / প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। (সফর মাসের প্রথম সপ্তাহে।)
২। শশমাহী / দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা। (জুমাদাল উলা মাসের প্রথম সপ্তাহে।)
৩। সালানা / বার্ষিক পরীক্ষা। (শাবান মাসের প্রথম সপ্তাহে।)

উল্লেখ্য, কিতাব বিভাগের বোর্ড পরীক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা এবং হিফজ সমাপ্তির পরে সম্পূর্ণ হিফজের পরীক্ষা “বেফাক ও হাইআর” অধীনে তাদের নিয়ম অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও পড়ালেখার উন্নতির জন্য বিভিন্ন সময় মাসিক পরিক্ষা নেওয়া হয়।

ছুটি সংক্রান্ত তথ্যাবলী

জামিয়ায় শিক্ষাবর্ষ শুরু হয় চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী। কিতাব বিভাগের শিক্ষাকাল দশ মাসের হয়। বার্ষিক ছুটি, বার্ষিক পরীক্ষার পর থেকে ৬ই শাওয়াল পর্যন্ত থাকে। এছাড়া ঈদুল আযহার সময় ১০ দিন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষার পর এক সপ্তাহ করে ছুটি থাকে। তবে হিফজ ও নাজেরা বিভাগের ক্লাস সারা বছর চলতে থাকে। শুধু ঈদুল আযহার ১০ দিনের ছুটি এবং রমজান মাসের ২৫ তারিখ থেকে শাওয়াল মাসের ৬ তারিখ পর্যন্ত ছুটি থাকে।

অভিভাবকদের করণীয় বিষয়াদি

১। অভিভাবকগণ নিজে কোরআন শিক্ষা ও সুন্নাহর সাথে সম্পৃক্ত হবেন।
২। বাসায় শিক্ষার্থীর জন্য ইসলামী পরিবেশের ব্যবস্থা করবেন।
৩। মাসিক প্রদেয় (বেতন, আবাসিক চার্জ, খাবার খরচ) প্রতি ইংরেজি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে অবশ্যই পরিশোধ করবেন।
৪। শিক্ষার্থী মাদরাসার কোন নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করলে প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত মেনে নিবেন।
৫। সন্তানের লেখাপড়ার অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষক ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করবেন।
৬। জামিয়ার সার্বিক ব্যবস্থাপনার পরও যদি কোন শিক্ষার্থী জামিয়া থেকে যথাযথ অনুমতি না নিয়ে প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে, এর কোন দায়-দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের উপর বর্তাবে না।
৭। নির্ধারিত ছুটি ব্যতীত অযথা শিক্ষার্থীকে বাসায় নিয়ে যাবেন না।

শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যপালনীয় বিষয়সমূহ :

শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশিকা:

১। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতে হবে।
২। মনোযোগ সহকারে পড়াশুনায় লিপ্ত থাকতে হবে।
৩। দৈনন্দিনের সকল কাজ সুন্নাত অনুযায়ী করার চেষ্টা করতে হবে।
৪। প্রতিদিনের নির্ধারিত রুটিন অনুসরণ করতে হবে।
৫। চুল, দাড়ি ও লেবাস পোষাকে সালাফে-সালেহীনের অনুসরণ করতে হবে।
৬। নসীহতমূলক প্রোগ্রামগুলোতে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।
৭। নিজেদের রুম, সিট, জামা-কাপড় পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখতে হবে।
৮। পড়ালেখা, ঘুম ও খাওয়ার সময় কাউকে বিরক্ত করা যাবে না।
৯। কোন সমস্যা হলে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। নিজে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেনা।
১০। বিনা অনুমতিতে কেউ কারো জিনিসপত্র ব্যবহার করতে পারবেনা।
১১। সব সময় উস্তাদদের সন্তুষ্টি ও দোয়া নিয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
১২। উস্তাদদের শাসনকে নিজের সফলতার সোপান মনে করতে হবে।
১৩। বুঝে আসুক আর না আসুক, উস্তাদদের শরীয়তসম্মত কথা মেনে চলতে হবে।
১৪। সমিতি, সোসাইটিসহ কোন ধরনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংগঠনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
১৫। শিক্ষার্থীদের জন্য কোন প্রকার অডিও/ভিডিও মোবাইল বহণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ।