আসসালামু আলাইকুম! মুফতি সাহেবের কাছে আমার জানার বিষয় হলো আমি একজনের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়েছি। আমার স্বামী বিষয়টা জানতে পেরেছেন। এখন আমাকে কোরআন শরিফ ধরে কসম কাটতে বলছেন। এখন আমি যদি তাকে সত্য কথা বলি, তাহলে আমার সংসার টিকবে না। উনি বলছেন যদি সত্যিই তুমি পরকীয়া করে থাকো, তাহলে ৭ দিনের মধ্যে তোমাকে তালাক দিবো। আর যদি আমি কোরআন শরিফ ধরে মিথ্যা কথা বলি যে, আমি পরকীয়া করি নাই। তাহলে আমার সংসার টিকবে। এক্ষেত্রে আমার করনীয় কী?
কোরআন শরিফের উপর হাত রেখে মিথ্যা শপথ করা অত্যন্ত কঠিন ও গুরুতর কবিরা গুনাহ। হাদিস শরিফে মিথ্যা শপথকে শিরক ইত্যাদির পরে বড় ও গুরুতর গুনাহ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, এবং যখন এই শপথ কোরআনের উপর হাত রেখে করা হয়, তখন এই গুনাহের গুরুতরতা আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নোল্লিখিত পরিস্থিতিতে প্রশ্নকারীনির জন্য মিথ্যা শপথ করা বৈধ নয়। কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে নেওয়া উচিত। কারণ পাপের পথ ধরে প্রকৃত সফলতা পাওয়া সম্ভব নয়। বরং সত্যবাদিতা ও ন্যায়ের মাধ্যমে পারিবারিক জীবনকে সফল করা যায়। এজন্য প্রশ্নকারীনির জন্য জরুরি হচ্ছে এই মিথ্যা শপথ করা থেকে বিরত থাকা এবং পূর্বে নিজের কৃতকর্মের জন্য আন্তরিকভাবে তওবা ও ইস্তেগফার করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের গুনাহে লিপ্ত হওয়া থেকে বিরত থাকার দৃঢ়প্রত্যয় গ্রহণ করা।
كما في صحيح البخاري : عن عبد الله بن عمرو، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «الكبائر الإشراك بالله، وعقوق الوالدين، وقتل النفس، واليمين الغموس.(باب اليمين الغموس، ج 8، ص 137، رقم : 6675، ط : السلطانية، مصر)-
وفي الدر المختار : (غموس) تغمسه في الإثم ثم النار، وهي كبيرة مطلقا (إلى قوله) (ويأثم بها) فتلزمه التوبة.(كتاب الأيمان، ج 3، ص 705، ط : سعيد)-
و في رد المحتار : تحت (قوله وهي كبيرة مطلقا) أي اقتطع بها حق مسلم أو لا، وهذا رد على قول البحر ينبغي أن تكون كبيرة إذا اقتطع بها مال مسلم أو آذاه، (إلى قوله) (قوله ويأثم بها) أي إثما عظيما كما في الحاوي القدسي. مطلب في معنى الإثم الخ (كتاب الأيمان، ج 3، ص 705-706، ط : سعيد)-