Fatwa No : 31
ডাক্তার কতৃক স্বীকৃত মানষিক রোগী আত্মহত্যা করলে শরিয়তের বিধান কী?

ডাক্তার কতৃক স্বীকৃত মানষিক রোগী আত্মহত্যা করলে শরিয়তের বিধান কী?

আমার বাবা মানষিক রোগী। যদি তিনি আত্মহত্যা করেন তবে শরিয়তের ফাত্ওয়া কী? উনি ডাক্তার কতৃক স্বীকৃত মানষিক রোগী ছিলেন। নোট: ফোনের মাধ্যমে জানা গেছে, প্রশ্নকারী বলেছেন তার পিতা মানসিক রোগের কারণে উল্টোপাল্টা কথা বলতেন। কী বলতেন কিছুই বুঝতেন না। ৩০ বছর ধরে এমনই ছিলেন। ডাক্তার বলেছিলেন, তার পাগলামির কারণে যেকোনো সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন। এলাকার লোকজন তাকে পাগল হিসেবেই চিনতো।

الجوابُ حامِدا ًو مُصلیِّا ً وَمُسَلِّمًا

ইসলামে আত্মহত্যা করা হারাম এবং গুরুতর পাপ। তবে, যদি কোনো ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে মানসিক রোগী হন এবং তার বুদ্ধি ও সচেতনতা হারিয়ে ফেলেন, এবং এ অবস্থায় আত্মহত্যা করেন; তাহলে তিনি এ কারণে গোনাহগার হবেন না। তাছাড়া এ অবস্থায় তার উপর শরিয়তের কোন বিধান পালন আবশ্যক ছিল না। এজন্য এ সময়ের নামাজ রোজা ইত্যাদির ফিদইয়াও দিতে হবেনা। এখন উনি আত্মহত্যা করে থাকলে সাধারণ মুসলমানদের মতই তাকে গোসল দেওয়া হবে এবং জানাযার নামাজও পড়ানো হবে।

مأخَذُ الفَتوی

كما في سنن أبي داود : عن عائشة رضي الله عنها، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " ‌رفع ‌القلم ‌عن ‌ثلاثة: عن النائم حتى يستيقظ، وعن المبتلى حتى يبرأ، وعن الصبي حتى يكبر(‌‌باب في المجنون يسرق أو يصيب حدا، ج4، ص139، رقم : 4398، ط: المكتبة العصرية، بيروت)-
وفي سنن الترمذي : عن علي، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: " ‌رفع ‌القلم ‌عن ‌ثلاثة: عن النائم حتى يستيقظ، وعن الصبي حتى يشب، وعن المعتوه حتى يعقل(‌‌باب ما جاء فيمن لا يجب عليه الحد، ج4، ص32، رقم : 1423، ط: شركة مطبعة ومكتبة مصطفى، مصر)-
وفي الدر المختار : (‌من ‌قتل ‌نفسه) ولو (عمدا يغسل ويصلى عليه) به يفتى وإن كان أعظم وزرا من قاتل غيره.(باب صلاة الجنازة، ج2، ص 211، ط: سعيد)-
وفي الفتاوى الهندية : ‌ومن ‌قتل ‌نفسه ‌عمدا يصلى عليه عند أبي حنيفة ومحمد - رحمهما الله - وهو الأصح، كذا في التبيين.( الفصل الخامس في الصلاة على الميت،ج1، ص 163، ط: دار الفكر، بيروت)-