আসসালামু আলাইকুম! জনাব মোঃ ওহাব মিঞা ইন্তেকাল করেন ইন্তেকালের সময় ওয়ারিশ হিসেবে দুজন স্ত্রী রেখে মারা যান। তাদের থেকে একজন স্ত্রী আমিরুন নেহার ঘরে ২ ছেলে ও ৬ মেয়ে জন্ম নেয় তাদের থেকে এক মেয়ে মা-বাবার জীবদ্দশায় ইন্তেকাল করে এবং আরেক মেয়ে মা-বাবার ইন্তেকালের পর অবিবাহিত অবস্থায় মারা যায়। বর্তমানে ওয়াহাব মিঞার এই স্ত্রীর ঘরে ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে জীবিত আছে। আর তার অপর স্ত্রী রওশানআরার ঘরে ১ ছেলে ও ১ মেয়ে জন্ম নেয় এবং তারা উভয়েই জীবিত আছে। এখন ওহাব মিঞা ও তার স্ত্রীদয়ের রেখে যাওয়া সম্পদ উল্লিখিত ওয়ারিশদের মাঝে শরিয়ত অনুযায়ী কিভাবে বণ্টন করা হবে ? উল্লেখ্য, জনাব ওহাব মিঞা এবং তার উভয় স্ত্রী সকলের ইন্তেকালের পূর্বেই নিজ নিজ মা-বাবা ইন্তেকাল করেছেন।
মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশ হওয়ার জন্য শর্ত হল মৃত ব্যক্তির ইন্তেকালের সময় সেই ওয়ারিশ জীবিত থাকা। তাই ওহাব মিঞা এবং তার স্ত্রীর ইন্তেকালের পূর্বেই তাদের যেই মেয়ে মারা গিয়েছে সে সম্পদ থেকে বঞ্চিত হবে।
كما في در المختار: أَنَّ شَرْطَ الْإِرْثِ وُجُودُ الْوَارِثِ حَيًّا عِنْدَ مَوْتِ الْمُوَرِّث.(كتاب الفرائض، ج:6، ص:769، ط: دار الفكر، بيروت) -
অতএব জনাব মোঃ ওহাব মিঞার পরিত্যক্ত সম্পদ শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এভাবে বণ্টন করা হবে যে মরহুম ইন্তাকালের সময় নগদ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ-রুপা ও ঘরের ছোট-বড় আসবাবপত্র সহ যা কিছু তার মালিকানাধীন রেখে গেছেন সব কিছু তার পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং তা থেকে কোন প্রকার কার্পণ্য ও অপচয় ব্যতীত প্রথমে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অতপর মৃত ব্যক্তির কোন ঋণ থাকলে অথবা স্ত্রীর মহর আদায় না করে থাকলে পূর্ণ সম্পদ থেকে তা আদায় করতে হবে। অতপর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য অসিয়ত করে থাকলে কিংবা নামাজ, রোজা ইত্যাদির কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে থাকলে তা একতৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে পূর্ণ করবে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ৯৬ ভাগে ভাগ করবে। যা থেকে মৃত ব্যক্তির উভয় স্ত্রীকে ৬ ভাগ করে এবং ৩ ছেলের প্রত্যেক ছেলেকে ১৪ ভাগ করে ও ৬ মেয়ের প্রত্যেক মেয়েকে ৭ ভাগ করে দেওয়া হবে। অধিক সহজের জন্য শতকরা কে কত পাবে তা নিম্নে দেওয়া হল।
ওয়ারিশ প্রাপ্ত অংশ শতকরা প্রাপ্ত অংশ
আমিরুন নেহা (স্ত্রী) 6 6.2500%
রওশানআরা (স্ত্রী) 6 6.2500%
ছেলে 14 14.5833%
ছেলে 14 14.5833%
ছেলে 14 14.5833%
রুমানা 7 7.2916%
মেয়ে 7 7.2916%
মেয়ে 7 7.2916%
মেয়ে 7 7.2916%
মেয়ে 7 7.2916%
মেয়ে 7 7.2916%
অতঃপর জনাব মোঃ ওহাব মিঞার স্ত্রী আমিরুন্ নেহার পরিত্যক্ত সম্পদ শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এভাবে বণ্টন করা হবে যে মরহুমার ইন্তাকালের সময় নগদ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ-রুপা ও ঘরের ছোট-বড় আসবাবপত্র সহ যা কিছু তার মালিকানাধীন রেখে গেছেন সব কিছু তার পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং তা থেকে কোন প্রকার কার্পণ্য ও অপচয় ব্যতীত প্রথমে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অতপর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য অসিয়ত করে থাকলে কিংবা নামাজ, রোজা ইত্যাদির কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে থাকলে তা একতৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে পূর্ণ করবে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ৯ ভাগে ভাগ করবে। যা থেকে প্রত্যেক ছেলেকে ২ ভাগ করে ও প্রত্যেক মেয়েকে ১ ভাগ করে দেওয়া হবে। অধিক সহজের জন্য শতকরা কে কত পাবে তা নিম্নে দেওয়া হল।
ওয়ারিশ প্রাপ্ত অংশ শতকরা প্রাপ্ত অংশ
ছেলে 2 22.2222%
ছেলে 2 22.2222%
রুমানা 1 11.1111%
মেয়ে 1 11.1111%
মেয়ে 1 11.1111%
মেয়ে 1 11.1111%
মেয়ে 1 11.1111%
অতঃপর জনাব মোঃ ওহাব মিঞা ও আমিরুন্ নেহার মেয়ে রুমানার পরিত্যক্ত সম্পদ শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এভাবে বণ্টন করা হবে যে মরহুমার ইন্তাকালের সময় নগদ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ-রুপা ও ঘরের ছোট-বড় আসবাবপত্র সহ যা কিছু তার মালিকানাধীন রেখে গেছেন সব কিছু তার পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং তা থেকে কোন প্রকার কার্পণ্য ও অপচয় ব্যতীত প্রথমে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অতপর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য অসিয়ত করে থাকলে কিংবা নামাজ, রোজা ইত্যাদির কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে থাকলে তা একতৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে পূর্ণ করবে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ৮ ভাগে ভাগ করবে। যা থেকে তার প্রত্যেক ভাই পাবে ২ ভাগ করে ও প্রত্যেক বোন পাবে ১ ভাগ করে। অধিক সহজের জন্য শতকরা কে কত পাবে তা নিম্নে দেওয়া হল।
ওয়ারিশ প্রাপ্ত অংশ শতকরা প্রাপ্ত অংশ
ভাই 2 25.00%
ভাই 2 25.00%
বোন 1 12.50%
বোন 1 12.50%
বোন 1 12.50%
বোন 1 12.50%
অতঃপর জনাব মোঃ ওহাব মিঞার স্ত্রী রওশান আরার পরিত্যক্ত সম্পদ শরীয়তের মূলনীতি অনুযায়ী এভাবে বণ্টন করা হবে যে মরহুমার ইন্তাকালের সময় নগদ টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি, স্বর্ণ-রুপা ও ঘরের ছোট-বড় আসবাবপত্র সহ যা কিছু তার মালিকানাধীন রেখে গেছেন সব কিছু তার পরিত্যক্ত সম্পদ হিসাবে গণ্য হবে এবং তা থেকে কোন প্রকার কার্পণ্য ও অপচয় ব্যতীত প্রথমে মৃত ব্যক্তির কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। অতপর মৃত ব্যক্তি কারো জন্য অসিয়ত করে থাকলে কিংবা নামাজ, রোজা ইত্যাদির কাফফারা আদায়ের অসিয়ত করে থাকলে তা একতৃতীয়াংশ সম্পদ থেকে পূর্ণ করবে। এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা ৩ ভাগে ভাগ করা হবে। যা থেকে ছেলেকে ২ ভাগ ও মেয়েকে ১ ভাগ দেওয়া হবে। অধিক সহজের জন্য শতকরা কে কত পাবে তা নিম্নে দেওয়া হল।
ওয়ারিশ প্রাপ্ত অংশ শতকরা প্রাপ্ত অংশ
ছেলে 2 66.6666%
মেয়ে 1 33.3333%