কাজী সাহেব না জানিয়েই ১৮ নং কলামে প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক গ্রহণ করতে পারবে লিখে রাখার বিধান

তালাকের বিধিবিধান ,তাফবিযে তালাক (তালাকের ক্ষমতা প্রদান),কাজী সাহেব না জানিয়েই ১৮ নং কলামে প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক গ্রহণ করতে পারবে লিখে রাখার বিধান

Fatwa No :
176
| Date :
2025-09-23
মুআমালাত / তালাকের বিধিবিধান / তাফবিযে তালাক (তালাকের ক্ষমতা প্রদান)

কাজী সাহেব না জানিয়েই ১৮ নং কলামে প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক গ্রহণ করতে পারবে লিখে রাখার বিধান

আসসালামু আলাইকুম। আমি একটা উত্তর জানতে চাই। দয়া করে আমাকে একটু সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করুন। ঘটনাটি নিম্নরুপ :
বিয়ের পূর্বে কাজী সাহেব আমার এবং আমার স্বামীর সাইন নেয় এবং কাজী সাহেব আমাদেরকে না জানিয়েই ১৮ নং কলামে " প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইন" লিখে রাখেন। এরপর যখন স্বামী কাবিন নামা হাতে পায় তখন এই লেখাটা দেখে মনে মনে মেনে নেন এবং গুগলে সার্চ করেন ও শর্তগুলো দেখেন। তিনি মূলত ১৮ নং কলামকে খোলা তালাকের অনুমতি ভাবেন। এবং স্ত্রী কোন কোন শর্তে খোলা নিতে পারবে সে সব শর্ত গুগলে দেখেন। তারপর যখন স্ত্রী কাবিন নামা হাতে পায় তখন স্ত্রী ও স্বামীর কিছু কথোপকথন :
স্ত্রী : ১৮ নং কলামে আমাকে অধিকার দেয়া নেই?
স্বামী : ভালো করে পড়ো, দেয়া আছে। প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ী দিয়েছি অধিকার।
স্ত্রী : তাহলে আমি তালাক নিতে পারবো?
স্বামী : এমনি এমনি নয় যদি আমি ভরন-পোষন না দেই। তোমাকে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করি তবে তুমি নিতে পারবে ( গুগলে পড়া শর্ত )
[উল্লেখ্য এসব কথা বলার সময় তার মনে কোনো সংখ্যার নিয়ত ছিলোনা]
ওপরোক্ত সমস্ত কিছু বর্ননায় স্ত্রী কি শর্তযুক্ত অধিকার পেয়েছে নাকি নিশর্ত অধিকার পেয়েছে? এবং শর্তযুক্ত হলে কোন কোন শর্তে পেয়েছে?

الجوابُ حامِدا ًو مُصلیِّا ً وَمُسَلِّمًا

প্রশ্নোল্লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী প্রচলিত মুসলিম ও পারিবারিক আইনের কোনো একটি শর্ত লঙ্ঘন হলে, অর্থাৎ : স্বামী নিখোঁজ হলে বা স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করলে অথবা স্ত্রীকে ভরণ-পোষণ না দিলে, কিংবা যৌন মিলনে অক্ষম হলে, অথবা দ্বিতীয় বিবাহ করে প্রথম স্ত্রীকে অবহেলা করলে, স্ত্রী নিজের উপর এক-তালাকে রজয়ী গ্রহণ করার ক্ষমতা লাভ করবে।

مأخَذُ الفَتوی

كما في البحر الرائق: أما إذَا كَانَ مُعَلَّقًا بِالشَّرْطِ فَلَا يَصِيرُ الْأَمْرُ بِيَدِهَا إلَّا إذَا جَاءَ الشَّرْطُ. (فصل في الأمر باليد، ج:٣، ص:٣٥١، ط:دار الكتاب الإسلامي)-
وفي الفتاوى الهندية : وإذا أَضَافَهُ إلَى الشَّرْطِ وَقَعَ عَقِيبَ الشَّرْطِ اتِّفَاقًا. (الفصل الثالث في تعليق الطلاق بكلمة إن و إذا وغيرهما، ج:١، ص:٤٢٠، ط:المطبعة الكبرى)-
وفي بدائع الصنائع: وأما التَّفْوِيضُ الْمُعَلَّقُ بِشَرْطٍ فَلَا يَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ إمَّا أَنْ يَكُونَ مُطْلَقًا عَنْ الْوَقْتِ، وَإِمَّا أَنْ يَكُونَ مُؤَقَّتًا، فَإِنْ كَانَ مُطْلَقًا بِأَنْ قَالَ: إذَا قَدِمَ فُلَانٌ فَأَمْرُكِ بِيَدِك فَقَدِمَ فُلَانٌ فَالْأَمْرُ بِيَدِهَا. (فصل في قوله أمرك بيدك، ج:٣، ص:١١٦، ط:دار الكتب العلمية)-
وفي الدر المختار: (قَالَ لَهَا طَلِّقِي نَفْسَك وَلَمْ يَنْوِ أَوْ نَوَى وَاحِدَةً) أَوْ ثِنْتَيْنِ فِي الْحُرَّةِ (فَطَلَّقَتْ وَقَعَتْ رَجْعِيَّةً، وَإِنْ طَلَّقَتْ ثَلَاثًا وَنَوَاهُ وَقَعْنَ)(باب تفويض الطلاق، فَصْلٌ فِي الْمَشِيئَةِ، ج:٣، ص:٣٣١، ط:دار الفكر)-
وفي كفايت المفتى :اقرار نامہ کی عبارت شوہر کے الفاظ میں اس طرح سے ہو کہ :اگر میں بد فعل ہو جاؤں یا بلا اجازت اپنی اہلیہ فلاں بنت فلاں سے عقدِ ثانی کرلوں، تو میری اہلیہ فلاں بنت فلاں کو میری طرف سے یہ حق اور اختیار حاصل ہے کہ وہ اپنے اوپر طلاق بائن جب چاہے ڈال لئے۔ اس کے بعد اگر دونوں شرطوں میں سے کسی ایک کی خلاف ورزی پر عورت اپنے نفس پر طلاق ڈال لے نور طلاق بائن پڑ جائے گی.(ج:٨، ص:٢٢٠، ط:إدارة الفاروق)-

واللہ تعالی أعلم بالصواب
عاشق بن سيف الإسلام عُفی عنه
دار الإفتاء الجامعة البنورية الإسلامية

Fatwa No 176 Verify Now
3     31
Related Fatawa Related Fatawa
...
Related Topics Relative Topics