কুফু মিল নেই এমন ছেলে-মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া যদি বিবাহ করে তাহলে তাদের বিবাহ সহিহ হবে কিনা

বিবাহের বিধিবিধান ,মহর ,কুফু মিল নেই এমন ছেলে-মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া যদি বিবাহ করে তাহলে তাদের বিবাহ সহিহ হবে কিনা

Fatwa No :
104
| Date :
2025-07-23
মুআমালাত / বিবাহের বিধিবিধান / মহর

কুফু মিল নেই এমন ছেলে-মেয়ে অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া যদি বিবাহ করে তাহলে তাদের বিবাহ সহিহ হবে কিনা

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! মাননীয় মুফতিয়ানে কেরাম দা, বা,! উচ্চতর ফিক্বাহ ও আইন গবেষণা বিভাগ।
বিষয়: বিবাহ সংক্রান্ত
আমার অনলাইনে একটা ছেলের সাথে পরিচয় হয় সে আমাকে জানায় আমাকে পছন্দ করে। তখন আমি বলি এভাবে সম্পর্ক করা তো হারাম। আপনি যদি আমাকে বিয়ে করতে পারেন তাহলে আমাদের একটা সম্পর্ক হবে তাছাড়া আমি আপনার সাথে কোন সম্পর্ক করবো না। তখন সে রাজি হয় এবং বলে আমরা তো এখন দূরে এখন তো সাক্ষাৎ করে বিয়ে করা সম্ভব না তারপর ছেলে মেয়েকে বলে আমি আমার পরিচিত একজনকে তোমার পক্ষ থেকে উকিল বানিয়ে বিয়ে করে ফেলি তখন আমি রাজি হয়েছি এবং সে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে তুমি কি বিয়ের জন্য অনুমতি দিয়েছো। আমি বলেছি হ্যাঁ অনুমতি দিলাম। পরে আমাকে বলেছে তুমি যেহেতু অনুমতি দিয়েছো যে কোন সময় বিয়ে করতে পারবো। তার দুদিন পর দুপুরের দিকে আমাকে ফোন দিয়েছে আমি ধরতে পারিনি। পরে যখন ফোন দিলাম তখন বলল বিয়ে হয়ে গেছে। দুইজন সাক্ষীর সামনে তার পরিচিত একজনকে নাকি আমার পক্ষ থেকে উকিল বানিয়ে বিয়ে করেছে। এবং আমি তার ওই কথাই বিশ্বাস করেছি এখন তিন বছর পার হয়ে গেছে এখনো সে আমাদের বিয়ের কথা কাউকে জানায় না। আর আমাকে তার বাড়িতেও নেয় না। বিয়ে করেছিল তখনও আমাকে ভরণ পোষণ দেয়ার কোন ক্ষমতা ছিল না এখনো নেই। আমাদের কুফু ও মিলে না আমার পরিবার থেকে ওর পরিবার অনেক গরীব। এখন আমি জানতে চাচ্ছি ওই বিয়েটা কি সহিহ্ হয়েছে? আর যদি হয়েও থাকে তাহলে উনার থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি? তালাক চেয়েছি কারণ আমাকে ভরণ-পোষণ দেয়ার ক্ষমতা তিন বছর আগেও ছিল না এখনো নেই। আমার নিজের খরচ নিজেরই বহন করতে হয়। এই তিন বছরে তার বাড়িতে নেয়নি এবং আমাকে বলেছে সে আমাকে নিবেওনা ছাড়বেও না। যদি আমার তালাক দরকার হয় তাহলে যেন তাকে এক লাখ টাকা দিই তাহলে ছাড়বে তাছাড়া কোনভাবেই ছাড়বেনা । এখন আমার করনীয় কী?
বি: দ্র: প্রশ্নটি লিখেছে আমার স্ত্রী
আমি আমার স্ত্রীর সাথে একমত হয়ে প্রশ্নের উত্তর চাচ্ছি

الجوابُ حامِدا ًو مُصلیِّا ً وَمُسَلِّمًا

প্রশ্নোল্লিখিত সুরতে ছেলে মেয়ের মাঝে কুফু না থাকায় বিবাহই সংঘটিত হয়নি। তাই তালাক দেওয়া নেওয়ার প্রশ্নই আসেনা। তাদের জন্য এখন করণীয় হল তৎক্ষণাৎ আলাদা হয়ে যাওয়া, এবং তাওবা করে আল্লাহ তায়ালার নিকট বিগত অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। এবং গর্ভবতী হলে সন্তান প্রসবের মাধ্যমে আর ঋতুবতী হলে তিন ঋতুস্রাবের মাধ্যমে এবং ঋতুবতী না হলে তিন মাস ইদ্দত পালন করার পর, প্রশ্নোক্ত মেয়েটি যাদের সাথে বিবাহ হালাল এমন যেকোনো ব্যক্তির সাথে চাইলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।

مأخَذُ الفَتوی

قال الله تعالى : قل يَا عِبَادِيَ الَّذِينَ أَسْرَفُوا عَلَىٰ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا مِن رَّحْمَةِ اللَّهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ (سورة الزمر، الأية: ٥٣)-
وفي سنن الدارقطني : عن جابر بن عبد الله ، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تنكحوا النساء إلا الأكفاء ، ‌ولا ‌يزوجهن ‌إلا ‌الأولياء ، ولا مهر دون عشرة دراهم. (‌‌باب المهر، ج:4، ص:358، رقم: 3601، ط: مؤسسة الرسالة، بيروت)-
وفي الهدايه: تعتبر في المال. و هو أن يكون مالكا للمهر والنفقة وهذا هو المعتبر في ظاهر الروايه، حتى إن من لا يملكهما أو لا يملك أحدهما يكون كفؤا. (فصل في الكفاءة، ج:٣، ص:٤٦، ط: مكتبة البشرى)-
وفيها أيضا: ثم الكفاءة تعتبر في النسب لأنه يقع به التفاخر. (فصل في الكفاءة، ج:٣، ص:٤٢، ط: مكتبة البشرى)-
وفي الدر المختار : (ويفتى) في غير الكفء بعدم جوازه أصلا، وهو المختار للفتوى (لفساد الزمان) فلا تحل مطلقة ثلاثا نكحت غير كفء بلا رضا ولي بعد معرفته إياه (باب الولي، ج:٣، ص:١٨٣، ط:سعيد)-

واللہ تعالی أعلم بالصواب
عاشق بن سيف الإسلام عُفی عنه
دار الإفتاء الجامعة البنورية الإسلامية

Fatwa No 104 Verify Now
0     14
Related Fatawa Related Fatawa
...
Related Topics Relative Topics